- আহমেদ শামীম
অপহরণ কাকে বলে তা সমকালের বাংলাদেশ খুব ভাল করেই টের পেয়েছে। এই শব্দের অর্থের জন্য এ দেশের কাউকে আর অভিধান ঘাটতে হয় না। এর অর্থ মানুষের মানস-অভিধানে অন্তর্ভুক্ত আছে; বাংলার মানুষ জীবন দিয়ে তা তাতে লিখে নিয়েছে। তবু আদালত যেহেতু মনহীন, উপরন্তু চোখ বন্ধ, কেবল কানের ওপর নির্ভর করে চলে, অপহরণের মামলায় অপহরণের লিখিত অর্থে তাকে কান দিতে হয়। সেই সুযোগে আদালতে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন ক্ষমতাধর পক্ষ শব্দের অর্থ ব্যঞ্জনা নিজেদের স্বার্থে বাঁকা করে নিয়ে সুবিধামত কার্য হাসিলের প্রয়াস পায়। এবং, অপহরণ সম্পর্কে এত কাল আমার যা জানি তা ভুল প্রমাণ করে। ক্ষমতাধররা আমাদের মুখের ভাষা কাইরা নিয়া আমাদের মুখে গুঁজে দেয় তাদের স্বার্থানুকূল অর্থ। ভাবছেন এমনতর ভাষিক হেরাফেরি থেকে রক্ষা করতে বাংলাভাষার অভিধানগুলো আপনার পাশে দাঁড়াবে? সে আশা সর্বক্ষেত্রে নাও খাটতে পারে।
সম্প্রতি, নারীর অধিকার নিয়ে সরব ব্লগ ঠোঁটকাটার ছোট্ট একটি পোস্ট “শাসকের অভিধান: অপহরণ” এমনি এক ঘটনা তুলে ধরেছে বাংলাভাষীদের দরবারে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ (আমারও একই কথা, তাই অনুমতি সাপেক্ষে ঠোঁটকাটার কথা কোট না দিয়েই ব্যবহার করছি), বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের সোচ্চার, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী কণ্ঠ কল্পনা চাকমা অপহরণের পর ১৯ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এ দুই দশকে বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্থার বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে অপহরণ বিষয়টিকে যে ভাবে উপস্থান করা হয়েছে তা অপহরণ শব্দটির পুর্নসংজ্ঞায়নের সামিল। তা কেমন? রাংগামাটি পার্বত্য জেলার মিস কল্পনা চাকমা অপহৃত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করিবার জন্য গঠিত [বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭/০৯/৯৬ ইং গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি] কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত তদন্ত প্রতিবেদনে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ:
সিদ্ধান্ত: ” …অপহরণ সংশ্লিষ্ট ঘটনাক্রম ও সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে কল্পনা চাকমা ইচ্ছায় হউক বা অনিচ্ছায় হউক অপহৃত হয়েছে কিন্তু কার দ্বারা অপহৃত হয়েছে তা উপরোক্ত সাক্ষ্য প্রমাণে নির্ণয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সুতরায় কারো বিরূদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করার কোনও কারণ নেই।”
কী বোঝা যায় তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে? মোদ্দা কথায় তাদের বক্তব্য হতে পারত এই যে, “প্রমাণ পাওয়া গেছে যে কল্পনা অপহৃত হয়েছে। কিন্তু অপহরণকারী কে তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না।” কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনের বক্তব্য তা নয়। তারও কিছু বেশি। কমিটি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, কল্পনা চাকমা ইচ্ছায় হউক বা অনিচ্ছায় হউক অপহৃত হয়েছে। তো কার দ্বারা অপহৃত হয়েছে তা যদি উপরোক্ত সাক্ষ্য প্রমাণে নির্ণয় করা সম্ভব না-ই হয়ে থাকে, তাহলে কল্পনা চাকমা যে ইচ্ছায় অপহৃত হয়ে থাকতে পারে সে সম্ভাবনার কথা কী ভেবে যুক্ত করা হল? ‘হতেও পারে আবার নাও হতে পারে’ মার্কা মকারিতো তদন্ত কমিটির কাজ না। তাহলে কি? মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সুযোগ রাখতেই কি অমন একটা কথা জুড়ে দেয়া হল? মানে সম্ভব হলে বাদীকে আসামী করার পথ খোলা রাখা? ইতিহাসে এমন নজির নাই তা কিন্তু নয়। তাছাড়া, “কল্পনা চাকমা ইচ্ছায় অপহৃত হয়েছে” এর মানে কী দাঁড়ায়? সামাজিক স্তরে যদি ‘অপহরণ’ শব্দটির প্রায়োগ বিচার করি তাহলে দেখতে পাই, “কোন ব্যক্তি বা পক্ষ ‘ক’ যদি অন্য ব্যক্তি বা পক্ষ ‘খ’কে তার বা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়, তাহলে আমরা ‘ক’ ‘খ’কে অপহরণ করেছে বা ‘খ’ ‘ক’ কর্তৃক অপহৃত হয়েছে বলি। শব্দটি জনমানুষের মানস-অভিধানে এ অর্থেই অন্তর্ভুক্ত। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আরও দেখা যায়, ‘ক’-এর পরিচয় তক্ষুনি না জানা গেলে সাধারণত বলি, ‘খ’কে অপহরণ করা হয়েছে কিংবা ‘খ’ অপহৃত হয়েছে। মানে, বাচ্য পরিবর্তনের ক্ষমতাসম্পর্ক এবং প্রাপ্ত তথ্যের ব্যাপারস্যাপার অবশ্যই আছে। কিন্তু, বাচ্য এখানে যাই হোক, অপরহণ ক্রিয়াটি কর্তার ইচ্ছায় ঘটে এতে কোনো দ্বিমতের অবকাশ নাই। কর্মের, বা যাকে অপহরণ করা হয়, তার ইচ্ছায় অপহরণ ক্রিয়াটি ঘটে না; সেরকম ঘটলে ক্রিয়াটিকে আর অপহরণ বলা যায় না। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে বলতে হয় কল্পনা চাকমার অপহরণ তাহলে সাজানো নাটক! আর, তা চালিয়ে দিতে পারলে মিথ্যে মামলার জন্য বাদীপক্ষকে দণ্ড দেয়া যায়। তো এই হল “কল্পনা চাকমা ইচ্ছায় হউক বা অনিচ্ছায় হউক অপহৃত হয়েছে”-এর বাকচাল।
সোজাকথায় যদি বলা হয় কল্পনা চাকমা অপহৃত হয়েছে, এর অর্থ দাড়ায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি বা পক্ষ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এমন ঘটনা বাংলাদেশে বহু ঘটেছে; কল্পনার স্বজনেরা অপহরণ মামলা দায়ের করেছে; অন্য অপহৃতদের স্বজনেরা যেমন করে। এক্ষেত্রে মামলা কোর্টে গড়ায়, তা গড়িয়েছে। তদন্তের পর তদন্ত হয়েছে। তো গত উনিশ বছর ধরে সেই মামলা কেবল গড়াচ্ছে, গড়াগড়ি খাচ্ছে। তো কী পেলাম আমরা এই তদন্তসমূহ থেকে? গতবছর মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন (২০/০৭/২০১৪):
“যেহেতু এই মামলার মূল সাক্ষী ভিক্টিম কল্পনা চাকমা নিজেই, তাই উক্ত কল্পনা চাকমার উদ্ধার না হওয়া কিংবা তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত মামলার তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
কল্পনা চাকমা কেন উদ্ধার হচ্ছেন না? কারো উদ্ধার হওয়া সম্ভব হয় যখন উদ্ধার কেউ করে, তাই না? এখানেও ইচ্ছার কথা আসে: কর্তায় ইচ্ছায় ক্রিয়া। উদ্ধার করা উদ্ধারকারী কর্তাপক্ষের কাজ। যে উদ্ধার হবেন তার কাজ না এটা। এ বাবদে অগ্রগতি প্রতিবেদনটির ওই বাক্যের পাঠ এভাবে করা যায়, “কল্পনা চাকমাকে উদ্ধার না করা কিংবা তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত মামলার তদন্ত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।” অর্থাৎ অপহরণ ক্রিয়ার কর্তাপক্ষ কি কল্পনা চাকমাকে তাদের জিম্মায় জীবিত রেখেছে, নাকি মেরে লাশ গুম করেছে; কিংবা অন্যকিছু ঘটেছে এর ভেতর- এর কোন তথ্যই কিংবা তথ্যসূত্রই উদ্ধার করতে পারছেন না উদ্ধারকারী কর্তাপক্ষ। তো তারা কল্পনা চাকমাকে উদ্ধার করবেন কী ভাবে? অপহরণের তদন্ত কার্যে প্রমিত প্রক্রিয়া যতদূর জানি তা হল সাক্ষীসাবুত ইত্যাদি থেকে সূত্র বের করা, সন্দেহ করা পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ইত্যাদি উদ্ধারকারী কর্তাপক্ষের কাজ। সে কাজে অগ্রগতি কী তা অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওই বাক্যটিতেই পরিষ্কার। কিন্তু এটা বোঝা যাচ্ছে না “কল্পনা চাকমার উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত” কিংবা “তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত” তদন্ত চলবে- এই কথার প্রায়োগিক মানে কি এই যে কল্পনা চাকমার সুরতহাল না দেখে বলা যাচ্ছে না কে অপহরণ করেছে, আদৌ অপহরণ করেছে কি না! বোঝা যাচ্ছে না কারণ তা কর্তৃপক্ষের ভাষা। জনমানুষের ভাষার সঙ্গে এর যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এমনকি বাংলাভাষার প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষকেই সমর্থন যোগায়; জনগণের বিরুদ্ধে তাদের মুখের ভাষাই ব্যবহৃত হয়। ঠোঁটকাটার সঙ্গে সংযুক্তি আকারে আমি এ কথাটুকুই বলতে চাই: প্রাতিষ্ঠানপ্রসূত বাংলা অভিধানগুলো প্রায়শই জনমানুষের মানস-অভিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আজ এই অপহরণ দিয়েই তার উদাহরণ দেয়া যাক।
আপনি যদি গুগলে অপহরণ লিখে একটা সার্চ দিন; প্রায় আধা সেকেন্ডে আপনি প্রায় চার লক্ষ বার অপহরণ শব্দটি পাবেন। এখন যদি আপনার হাতের কাছে একটি কোড থাকে তাহলে জেনে নিতে পারবেন প্রতিটি টেক্সটে অপহরণের ঠিক আগের পরের শব্দগুলো কী কী- ফলে জানতে পারবেন সেখানে কোন প্যাটার্ন আছে কিনা। আরও জানতে পারবেন অপহরণ সঙ্গে আর কী কী ক্রিয়া যুক্ত। কোড নাই ঠিক আছে, কিন্তু স্মৃতিকে জিজ্ঞেস করুন। দেখুন একই রকম উত্তর পাবেন। ‘শিশু অপহরণ’ ‘কলেজ/স্কুল ছাত্রী অপহরণ’, ‘তরুণী অপহরণ’, ‘ব্যবসায়ী অপহরণ’, ‘যুবক অপহরণ’, ‘প্রবাসী অপহরণ’ এমন শিরনাম অনেক দেখেছেন। দেখেছেন ‘অপহরণের পর ধর্ষণ’, ‘অপহরণের পর ধর্ষণ তারপর খুন’, ‘অপহরণের পর খুন’, ‘অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়’ ইত্যাদি। তাহলে অপহরণ সম্পর্কে আপনার ধারণা কি দাঁড়ায়? অপহরণের উদ্দেশ্য অপহরণকারীর স্বার্থ উদ্ধার এবং/অথবা অপহৃতার ক্ষতিসাধন। ফলে জনমানুষের মানস-অভিধান জানে ‘ক’ ‘খ’কে অপহরণ করে মানে “‘ক’ ‘খ’কে ‘খ’-এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়- তুলে নিয়ে গিয়ে নিজের কব্জায় রেখে নিজের স্বার্থ উদ্ধার এবং/অথবা অপহৃতার ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে।
তো কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করায় অপহরণকারী পক্ষের স্বার্থ কী? আদালত এখনো জানে না। কারণ, তদন্ত চলছে, তাই বিচার শুরু হচ্ছে না। কিন্তু তদন্তে অপহরণের অর্থের ব্যাপ্তির ওইরূপ সঙ্কোচন আমাদের সংশয়ী করে। আমাদের সন্দেহ হয়, ওইরূপ অর্থসঙ্কোচন ঘটলে আদালত সঠিক তথ্যপ্রমাণ পাবে কি না! সন্দেহ নিয়ে আমরা বাংলা ভাষায় লিখিত সব অভিধান হাতরাই। আদালতকে বলতে চাই, তদন্তে অপহরণের অর্থব্যাপ্তিকে খেলো করে দেয়া হচ্ছে। আদালত কেবল মানস অভিধানের ওপর নির্ভর করে না, তার লিখিত অভিধান লাগে। তাই হাতের কাছের প্রাতিষ্ঠানিক অভিধানগুলোকে সাক্ষী মানি। কিন্তু হায়, চোরের সাক্ষী যখন হয় গাঁটকাটা, তখন যে অপহৃত হয়েছে সে যায় কোথায়? দেখুন, প্রতিষ্ঠানপ্রসূত অভিধানগুলো কী সাক্ষ্য দেয়। হাতের কাছে যে কয়টা বাংলা অভিধান পাবেন সব কটিতে অপহরণ শব্দটির অর্থ, সমার্থক শব্দ খুঁজে ঠোঁটকাটা একটা তালিকাটা তৈরি করেছে। তালিকাটি নিম্নরূপ:
ব্যবহারিক শব্দকোষ: চুরি
বির্বতনমূলক বাংলা অভিধান: জোর করে কেড়ে নেয়া, লুটতরারজ দ্বারা ক্বরিত, আপনাদিগের কালহরণ, আত্মসাৎ, চুরি
চলন্তিকা: চুরি
বাংলা এ্যাকাডেমি ব্যবহারিক: চুরি, লুণ্ঠন
সংসদ: ১. বিনা অনুমতিতে বা অন্যায়ভাবে অন্যের জিনিস নেয়া, চুরি; ২. লুণ্ঠন [সংস্কৃত অপ+হৃ+অন]
বঙ্গীয় শব্দকোষ: দ্র: অপহর, অপহর=অপহারক, নাশক। ১. অপনয়ন, অপসারণ। ২. স্তেয়, চৌর্য। সীতাদ্রব্য। ৩. অপকৃষ্টভাবে গ্রহণ। ৪. ইাশ, ক্ষয়।
কই সেই ব্যাপ্তি অপহরণের? কবে কে অন্য কারো কলম অপহরণ করেছে? সম্পদ অপহরণ করেছে? টাকা অপহরণ করেছে? এভাবে অপহরণের অর্থ কে ব্যবহার করি আমরা, বাঙালিরা? হিন্দি এবং মারাঠিতেও অপহরণ শব্দটি আছে। সেই ভাষাদুটিতেও আমাদের মানস অভিধানের যে অর্থব্যপ্তি হাজির করেছি, সেই অর্থব্যপ্তি নিয়েই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। বাংলা অভিধানগুলোর সব অর্থ মিলিয়েও সেই ব্যাপ্তিতে পৌঁছাতে পারে না। এ বাবদে আমাদের লিখিত অভিধানগুলো জনমানুষের মানস অভিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আভিধানিক অর্থ পড়ে অপহরণের নৃশংসতা বোঝা যাবে না। এর সঙ্গে জড়িত ক্রিয়াকলাপের লেশ মাত্র নেই ওই অর্থগুলোতে। সে বাবদে, ঠোঁটকাটার এই কথার সঙ্গে আমি একমত যে, শাসন ব্যবস্থা, শাসনের সম্পর্ক যে চাইলেই আইনি প্রক্রিয়ায়, দাপ্তরিক নথি-পত্রে শব্দের অর্থ বদলে দিতে পারে – তার নির্মম উদাহরণ কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা। কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার নথিপত্র থেকে উল্লেখিত উদ্ধৃতি দুটো উক্ত তালিকাটি পাশে রেখে পড়লে শব্দের অর্থকে শাসন করে আধিপত্য বজায় রাখার, টিকিয়ে রাখার কৌশল নিয়ে ভাববার রাজনৈতিক গুরুত্ব আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়। সঙ্গে এও স্পষ্ট হয় যে, ক্ষমতাপক্ষ যা বলে তা ভাষা নয় তাদের ভাষ্য বা বয়ান, তাই ক্ষমতার বয়ান বাছবিচার করেই তবে পাওয়া যাবে ক্ষমতাপক্ষের বাক্য কীভাবে জনমানুষের মানস অভিধানে অন্তর্ভুক্ত শব্দের অর্থকে স্তব্ধ করে দেয়।
*প্রবন্ধটি নারীবাদী ব্লগ ঠোঁটকাটায় প্রথম প্রকাশিত হয়।