অরাজ

 

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক গভীর সঙ্কটের কাল অতিক্রম করছে। স্বায়ত্তশাসন, জ্ঞানতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা- কোনো কিছুরই অস্তিত্ব বিদ্যমান কাঠামোতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেবল জ্ঞানার্জনের পথই যে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, বরঞ্চ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসন কর্তৃক নানা প্রকার হামলা-মামলা খোদ বিশ্ববিদ্যালয় ধারণাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। এ যেন জ্ঞানের তীর্থভূমি ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক ধারণার কবর রচিত হয়ে ইট-পাথরের এক কঙ্কাল অবশিষ্ট আছে মাত্র। বিদ্যমান বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্কটকে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় নামক ধারণাকেও, খোলা মনে আলোচনার জরুরত দেখা দিয়েছে। একটি মুক্তিমুখিন সমাজ ও জ্ঞানভিত্তিক জনপদ হিসেবে বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ফলে বাংলাদেশে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কট, সম্ভাবনা, সমস্যার কারণ, এর গতিপথ, হালচাল ইত্যাদি বিষয়ক আলোচনা শুরু করার তাগিদ থেকে অরাজ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই সংখ্যা হাজির করছে। এটা কেবল সূচনামাত্র; আমরা আশা করি এই আলাপ সবার অংশগ্রহণে আরো সমৃদ্ধ হবে, সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কোন রূপে দেখতে চাই, সেই বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারব।

 

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ

লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২. গণতন্ত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়

লেখক: ওয়াল্টার অ্যালেন জেঙ্কিন্স

অনুবাদ“ কাজী মোতাহার হোসেন

৩. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার: প্রসঙ্গ শিক্ষক ও ছাত্র রাজনীতি
লেখক: সেলিম রেজা নিউটন

৪. বিউপনিবেশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা
লেখক: সৈয়দ নিজার

৫. বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসন অর্থায়ন।রাষ্ট্র-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কপাঠ: মুক্তিপরায়ণ রূপকল্প
লেখক: আরিফ রেজা মাহমুদ

৬. বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ‘নব্য-উদারনীতিবাদ’: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘কৌশলপত্র’ কেন গ্রহণযোগ্য নয়?
লেখক: মোহাম্মদ আজম

৭. ক্যাম্পাসে কেন ডেমোক্রেসি দরকার?
লেখক: আলতাফ পারভেজ

৮. বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুযাত্রা
লেখক: টেরি ইগলটন
অনুবাদ: মশিউর রহমান ও কাজী তাফসিন

৯. ‘স্বায়ত্তশাসিত’ থেকে ‘সরকারি’: বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় আইনগুলোর পশ্চাৎমুখী বিবর্তন
লেখক: অভিনু কিবরিয়া ইসলাম