- সহুল আহমদ
Fascism is a set of ideologies and practices that seeks to place the nation, defined in exclusive biological, cultural, and/or historical terms, above all other sources of loyalty, and to create a mobilized national community.- Kevin Passmore1Kevin Passmore, Fascism: A Very Short Introduction, Oxford University Press, 2014
আওয়ামীলীগের বিগত পনের বছরের শাসনামলকে স্বৈরতন্ত্র, ইলেক্ট্রোরাল অটোক্রেসি, হাইব্রিড রেজিম ইত্যাদি নানা বর্গে চিহ্নিত করা হলেও, বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিসরে এই রেজিমকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়।
৫ আগস্টের আগে ‘ফ্যাসিবাদি’ বলে কেবল আওয়ামী-রেজিমকেই চিহ্নিত করা হলেও, ৫ আগস্টের পরপর সেটা হরেদরে সবার বিরুদ্ধে দাগানো হচ্ছে। আওয়ামীলীগকে তো বলা হচ্ছেই, তেমনি আওয়ামীলীগের ফেসবুক পেজ থেকে উল্টো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমেও একে অপরের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েমের অভিযোগ তুলছেন হরদম। এমনকি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে ছিলেন—এমন ব্যক্তিরাও মতের মিল না হলে একে অপরকে ফ্যাসিবাদী বলে তকমা দিচ্ছেন। যেমন, চিন্তক ফরহাদ মজহারের সমালোচনা করতে গিয়ে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র যে মন্তব্য করেন সেটাকে এই শব্দের এমন হরেদরে ব্যবহারের উদাহরণ হিসাবে পাঠ করা যায়: ‘ফরহাদ মজহার গঠন, জনগণ ইত্যাদি নানা ধরনের শব্দ দিয়ে চিন্তার একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান। এগুলা ভেঙে দিতে হবে’। (২৬ অক্টোবর, ২০২৪)
অরওয়েল ১৯৪৪ সালে ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক রেটরিক হিসাবে এর অস্পষ্টতা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, For if you examine the press you will find that there is almost no set of people — certainly no political party or organized body of any kind — which has not been denounced as Fascist during the past ten years.2George Orwell, ‘What is Fascism?’, Tribune, 1944 (https://www.orwell.ru/library/articles/As_I_Please/english/efasc) বাংলাদেশে বর্তমানে এই পরিস্থিতি হাজির রয়েছে।
হরেদরে ‘ফ্যাসিবাদী’ বা ‘ফ্যাসিস্ট’ তকমা দেওয়ার ফলে আওয়ামী-রেজিমের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী হওয়ার যে অভিযোগ, সেটাই লঘু হয়ে যাচ্ছে।
আবার, আওয়ামীলীগ বা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত যে আলাপ বা বাহাস চলছে, সেখানেও রেফারেন্স বিন্দু হিসাবে আছে ইউরোপের ফ্যাসিবাদ। ইউরোপে ফ্যাসিবাদকে ন্যাস্যাৎ করা হয়েছে, তাদের সকল চিহ্নকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ফলে এখানেও করতে হবে একই তরিকায় – অনেকটা এই তরিকার যুক্তি।
ইউরোপের ফ্যাসিবাদ, নাজিবাদ, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি আলাপ করেছেন শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবৃত্তিক পাটাতনের অন্যতম স্তম্ভ। ১৯৭১ সালের জেনোসাইডের সাথে জামায়াতের সম্পৃক্ততার কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যে যুক্তি তারা দিতেন, বা জামায়াতকে নিয়ে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা তারা তৈরি করেছিলেন সেটাও ছিল একই তরিকায় ইউরোপের নাজিবাদ/ফ্যাসিবাদের রেফারেন্স ধরে। বর্তমানে যারা একই ইউরোপের রেফারেন্সে ফ্যাসিবাদ নিয়ে আলোচনা করছেন, তারা মারাত্মকভাবে – সচেতন বা অবচেতনভাবে – মুনতাসীর মামুন বা শাহরিয়ার কবিরদের লেখাপত্র দ্বারা প্রভাবিত।
ইউরোপের ফ্যাসিবাদ বা নাজিবাদকে রেফারেন্স বিন্দু হিসাবে হাজির করে বাংলাদেশের ইতিহাসের সহিংস ঘটনা ব্যাখ্যার যে প্রবণতা এটা আসলে সমস্যাজনক। এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খণ্ডিত চিত্র হাজির হয়। শুধু ইউরোপের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে এখানকার রাষ্ট্র ও সহিংসতার নানা মাত্রাকে লঘু করে ফেলা হয়। যেমন একাত্তরের জেনোসাইডকে কেবল নাৎসি জমানার জেনোসাইডের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে অনেক স্থানিক বিষয় বাদ পড়ে। ধারণ করে একটা খণ্ডিত চেহারা। এই খণ্ডিত চিত্র আওয়ামী জমানা তাদের মতাদর্শিক অবস্থান তৈরিতে এস্তেমাল করেছিল।
ফ্যাসিবাদ নিজে কোনো মতাদর্শ না, বরঞ্চ যে কোনো মতাদর্শের কাঁধে সওয়ার হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে পারে। জাতীয়তাবাদী চিন্তার কাঁধে সওয়ার হওয়াই সর্বাধিক সহজ-প্রবণতা।
আওয়ামীলীগের শাসনামলকে আমরা যেভাবে ফ্যাসিবাদী বলে থাকি, তার সাথে এই জমানার একাডেমির বহু লোক আসলে একমত হবেন না। তারা বরঞ্চ এই রেজিমকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ বা ‘নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র’ বা ‘অটোক্রেসি’ বা ‘হাইব্রিড রেজিম’ ইত্যাদি বর্গ দিয়ে ব্যাখ্যা করবেন।
ইউরোপের উদাহরণ দিয়ে আওয়ামী শাসনকে ‘ফ্যাসিবাদ’ বর্গে ঢুকানোর করার কোশেশ আদতে খুব একটা ফলপ্রসু হবে না। হিটলারের নাজিবাদ বা স্ট্যালিনের কমিউনবাদ বা মুসোলিনির ফ্যাসিবাদকে অনেক বেশি ‘টোটালিটারিয়ানিজম’ বর্গের আওতায় ব্যাখ্যা করার চল আছে। হানা আরেন্টের যুগান্তকারী কাজটাকে বিবেচনায় নিতে পারি। ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দের ব্যবহার নিয়েও সতর্কতামূলক অবস্থান নেওয়া উচিত বোধ হয়। সম্প্রতি চিন্তক ও প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ আজমকেও ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দের ব্যবহার নিয়েও সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন :
‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অন্তত শেষ এগার বছরের শাসনে ফ্যাসিস্ট শাসনের ও মতাদর্শের নানা উপাদান থাকলেও একে আসলে আধা-ফ্যাসিস্ট, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শাসন বলাই শ্রেয়। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে দুটির উল্লেখ করি। প্রথমত, ফ্যাসিস্ট শাসনের ক্লাসিক উদাহরণগুলোতে (যেমন ইতালি ও জার্মানি) ইডিয়লজিকেল স্টেট অ্যাপারেটাসের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশের জনগণের মোটামুটি ব্যাপক সমর্থন দেখা গেছে। বাংলাদেশে গত অন্তত বছর দশেকের বাস্তবতা বিশেষভাবে আলাদা। তথ্য-প্রমাণ বলছে, গত বার-তের বছরের মধ্যে যেকোনো সময় সাধারণ নির্বাচন হলেই আওয়ামী-বিরোধী শিবিরই ক্ষমতায় আসত। এ শাসন জনগণের মধ্যে মোটেই জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ছিল না। দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিস্ট শাসনগুলোর, এমনকি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রেও (যেমন মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা দক্ষিণ কোরিয়া), জনসম্মতির পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী চেতনা, রাষ্ট্রের ও জনগণের উন্নতি, আদর্শিক দৃঢ়তা এবং নীতি-নৈতিকতার প্রবলতা দেখা গেছে। আওয়ামী-রেজিমে এসব বস্তু বিন্দুমাত্রও লক্ষ করা যায়নি। দুর্নীতি ও লুটপাটই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। কাজেই একে ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসন বলে সম্মানিত না করাই ভালো।’3মোহাম্মদ আজম, ‘বাংলাদেশের ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যতের পটভূমিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’, রাষ্ট্রচিন্তা, ত্রয়োদশ সংখ্যা, ২০২৪
ফলে, আওয়ামী-শাসনামলকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিসরে যে ‘ফ্যাসিবাদ’-এর ব্যবহারের কথা বলছি, তাকে বুঝতে হবে আসলে আমাদের কাঠামো ও প্রবণতার আলোকে। ইউরোপের ইতিহাস দিয়ে বুঝতে গেলে এটা মিসপ্লেসড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মুখের কথা হিসেবে ‘ফ্যাসিস্ট’ শব্দ ব্যবহার এক কথা। কিন্তু এর বাইরে সরকারি সিদ্ধান্ত বা কোনো দল নিষিদ্ধের যুক্তি হিসেবে ইউরোপীয় অর্থে ‘ফ্যাসিবাদ’ ব্যবহার সরকারকে বিপদে ফেলবে। কেননা, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক কোনো মানবাধিকার সংগঠনই ইউরোপের ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আওয়ামী জমানার পরিস্থিতির তুলনামূলক আলাপ ও যুক্তিকে আমলে নেবে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিষয়ক আলোচনা চালু আছে, আওয়ামী-শাসনামলকে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়, তার চরিত্র ও গঠন গত শতকের প্রথম অর্ধেকের ইউরোপীয় অভিজ্ঞতাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা ও ইতিহাসের আলোকে বোঝা দরকার বলে মনে করি।
দুইভাবে আওয়ামী রেজিমের ফ্যাসিবাদকে বোঝা যেতে পারে : একটা কাঠামোগত জায়গা থেকে, আরেকটা প্রবণতার জায়গা থেকে।
বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ গড়ে উঠে চারটি উপাদানের মিথস্ক্রিয়াতে : ঔপনিবেশিক আইন, সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ (কখনো সেটা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের রূপ ধারণ করে) এবং নয়া-উদারনীতিবাদ।
প্রথমত, বাংলাদেশের সকল আইন-কানুন, পেনাল কোড সবকিছু গভীরভাবে ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার বহন করে চলছে। এখানকার আইন-কানুন যে ধারাবাহিকভাবে নাগরিকের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে তাঁর মূল কারণ হচ্ছে এর সাথে লেপ্টে থাকা উপনিবেশের অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত, মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল সেটার ভেতর লুকিয়ে আছে ভয়াবহ স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামো। যদিও, গণতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু চর্চার ক্ষেত্রে সবকিছু নজিরবিহীনভাবে একব্যক্তিকেন্দ্রিক। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী উন্মাদনা নানাভাবে ক্রিয়াশীল। কখনো ‘হাজার বছরের’ বাঙালি জাতীয়তাবাদ, আবার কখনো ‘নব্বইভাগ মুসলমানের দেশ’ এর বাঙালি+মুসলমান=বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। চতুর্থত, নয়া-উদারনীতিবাদ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে বর্তমানের ‘উন্নয়ন’কেন্দ্রিক শ্লোগান এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে বিপরীতমুখী হিসেবে হাজির করার মতাদর্শিক হাতিয়ার।
আওয়ামী-জমানার এই ফ্যাসিবাদকে ‘কাঠামো’র জায়গা থেকে বোঝার পাশাপাশি রাজনৈতিক সংস্কৃতির জায়গা থেকেও বোঝা দরকার। অর্থাৎ, কেবল সর্বাত্মক রাষ্ট্রপ্রণালীর জায়গা থেকে ‘ফ্যাসিবাদ’কে বুঝতে চাচ্ছি না, বরঞ্চ একে গণ-হিস্টেরিয়া হিসেবেও চিহ্নিত করছি; এর ব্যপ্তি একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত। এটা এক ধরনের উন্মাদনা। যে মানুষ সারাবছর যুক্তিশীল মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনিও স্রেফ কোনো গুজবের পাল্লায় পড়ে এমন উন্মাদনার জোয়ারে গা ভাসাতে পারেন।
এ ধরনের উন্মাদনা তথা ফ্যাসিবাদ আসলে সমাবেশ বা গণজোয়ারও বটে। দুটো প্রবণতা থাকে জোয়ারের মধ্যে : একদিকে বিদ্রোহ, অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ওপর রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন চালানোর প্রকট বাসনা। এ জায়গা থেকে তেরো সালের দুটো আন্দোলন/সমাবেশ – শাহবাগ ও শাপলা- এর মধ্যে আমরা ফ্যাসিবাদী প্রবণতা দেখতে পাই।
সহজ কথা হচ্ছে, রাজনৈতিক পরিসরে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ শব্দের হরদম এস্তেমাল চলছে, তাকে এই দুটো জায়গা থেকে বুঝতে পারা জরুরি। কেবল তখনই বোঝা যাবে ‘ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ চাই’ বলে কী বোঝানো হচ্ছে? যখন আমরা ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বিলোপ চাই বলছি, তখন কেবল মতাদর্শিক অবস্থানের ‘স্থানান্তর’ চাই না। বরং পুরো কাঠামোর একধরনের রদবদল, সংস্কার বা বিলোপ চাই।
তবে, আওয়ামী-রেজিমকে কী নামে চিহ্নিত করবো, তা যেমন জরুরি, তার চেয়েও জরুরি হচ্ছে, এই রেজিমের কালে যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ইনসাফ নিশ্চিত করা। পনের বছরের গুম ও ক্রসফায়ার ও জুলাই মাসের হত্যাযজ্ঞ বা ম্যাসাকারের মতো ব্যাপক সহিংস ঘটনার বিচার ও ইনসাফ কেবল সাধারণ আইন-আদালত ও বিচকা-প্রক্রিয়া দিয়েই সম্ভব হবে না। আমাদেরকে ট্রানজিশনাল জাস্টিস বা ক্রান্তিকালীন ইনসাফ বিষয়েও আলাপ শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশে যে ধরনের সহিংসতা জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটেছে, যে সামূহিক ট্রমার জন্ম দিয়েছে, তা লাঘব কেবল সাধারণ বিচার দিয়ে হবে না। মাস্টারমাইন্ডদের বিচার যেমন লাগবে, তেমন ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ, স্মৃতি সংরক্ষণ, ট্রমা লাঘবকরণ, ট্রুথ-কমিশন তৈরি করা ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কারণ, এই ধরনের সহিংসতায় কেবল দুয়েকজন ব্যক্তি জড়িত থাকে না, বরঞ্চ সমাজের এক বিরাট অংশ জড়িয়ে পড়ে। এগুলোকে কেবল ‘শাস্তি’ বা ‘নিষিদ্ধ’ দিয়ে সমাধা করা যাবে না।
প্রথম প্রকাশ (খসড়া) : প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর ২০২৪