অনুবাদ: তাসবির কিঞ্জল
লি ওয়েন লিয়াঙ হলেন সেই ডাক্তার যিনি সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস মহামারি টের পেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাকে সেন্সর করে ফেলে। তিনি ছিলেন আমাদের সময়ের একজন সত্যিকারের বীর। তাকে বলা যায় চীনের চেলসি ম্যানিং বা এডওয়ার্ড স্নোডেন। তাই তাঁর মৃত্যু ব্যাপক-বিস্তৃত ক্ষোভের জন্ম দেবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। চৈনিক রাষ্ট্রের এই করোনা মোকাবিলা কীরূপে আদৃত হয়েছিল তা সবচেয়ে ভালো বোঝা যায় হংকং-কেন্দ্রিক সাংবাদিক ভের্না ইউ’র করা মন্তব্যে। তিনি বলেন, “চীন যদি কথার স্বাধীনতাকে মূল্য দিত, তাহলে করোনা ভাইরাস-ই থাকত না। চীনা নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকারকে সম্মান না করা হলে এমন ঘটনা আবার ঘটবে… মনে হতে পারে, চৈনিকদের মানবাধিকার থাকা বা না থাকায় বাকি বিশ্বের কী যায় আসে! কিন্তু দূর্যোগ তখনই ঘটতে পারে যখন চীন তার নাগরিকদের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে দেয়। আন্তর্জাতিক মহলকে অবশ্যই বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।”
সত্য, কেউ বলতেই পারেন, চীনা রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল কাজ বুড়ো মাও-এর নীতি “মানুষকে বিশ্বাস করার” বিরুদ্ধে ছুটছে। এর পরিবর্তে সরকার পরিচালনার প্রধান প্রস্তাবনা হল মানুষকে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। মানুষকে ভালোবাসা উচিৎ, মানুষকে রক্ষা করা উচিৎ, মানুষের যত্ন নেওয়া উচিৎ, মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ, কিন্তু বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। এই অবিশ্বাস সেই একই অবস্থানেরই চরম সীমা যা চীনা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেশ আন্দোলন অথবা শ্রমিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার সময় প্রদর্শন করে। চীনা কর্তৃপক্ষ প্রায়শই একটি বিশেষ ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখে। একজন মানুষ, হতে পারেন তিনি একজন প্রতিবেশ কর্মী, একজন মার্কসবাদী ছাত্রী অথবা ছাত্র, ইন্টারপোলের কোনও প্রধান, একজন ধর্মীয় প্রচারক, হংকংয়ের একজন প্রকাশক, এমনকি সিনেমার একজন জন-নন্দিতা অভিনয়শিল্পী, তিনি শ্রেফ উধাও হয়ে যাবেন দুই সপ্তাহের জন্য। এরপর সুস্পষ্ট কিছু অভিযোগ ঘাড়ে নিয়ে পুনরায় জনসম্মুখে উদয় হবেন। এবং এরপরের সুদীর্ঘ নিরবতা কেবল একটি বার্তাই দেবে: ক্ষমতাকে এমন অপ্রোথনযোগ্য উপায়ে প্রয়োগ করা হয়েছে যে এখন কোনও কিছুকে আর প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই। এই বুনিয়াদি বার্তাটি যখন পৌছে দেওয়া হয় আইনী যুক্তিগুলো তখন দূর থেকে তাকিয়ে থাকে। মার্কসবাদী শিক্ষার্থীদের অদৃশ্য হয়ে যাওয়াটা বিশেষ ঘটনা। অদৃশ্য হবার অন্যান্য ঘটনায় যেখানে কোন না কোনও ভাবে একক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের জন্য হুমকি বলে ধরে নেওয়া হয়, সেখানে মার্কসবাদী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা খোদ রাষ্ট্রীয় ভাবাদর্শের সাথে সম্পর্কিত।
পার্টি নেতৃবৃন্দের এমন ভয় পাবার কারণ হল একটা স্ব-সংগঠিত সম্পর্কজালের ভুত। এই জালটি বোনা হয়েছে মার্কসবাদে উদ্বুদ্ধ শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীদের দিগন্ত বিস্তৃত সম্পর্ক দিয়ে এবং পুরাতন পার্টি ক্যাডার আর সেনাবাহিনীর এক অংশের সমর্থন নিয়ে। এমন একটি সম্পর্কজাল পার্টির শাসনের ন্যায্যতাকে সরাসরি প্রশ্ন করে এবং একে প্রতারক হিসেবে আখ্যায়িত করে। এ জন্যই বোঝা যায় কেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার অনেকগুলো “মাওবাদী” ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কসবাদী বিতর্ক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে। রাষ্ট্রীয় ভাবাদর্শে সিরিয়াসলি বিশ্বাস রাখা এই মুহুর্তে চীনে সবচেয়ে বিপদজনক কাজ। চীন এখন এমন অবস্থার জন্য মূল্য পরিশোধ করছে।
হংকং-এর শীর্ষ স্থানীয় গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ গ্যাব্রিয়েল লিয়াঙের মতে, “নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে”। তিনি আরও বলেন, “বৈজ্ঞানিক মহল যখন এমন অনিশ্চয়তার মোকাবিলা করতে থাকে তখন জনগণের উচিত সরকারের উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা। কিন্তু একদিকে যখন হাতে হাতে সোস্যাল মিডিয়া আর একদিকে ভুয়া খবর-আসল খবর মিলেমিশে একাকার, তখন চারিদিকে বিরাজ করে শূণ্য-বিশ্বাস। এমন অবস্থায় আপনি কী করে মহামারির সাথে লড়াই করবেন? আপনার প্রয়োজন একটু বেশী বিশ্বাস, একটু বেশী সংহতির চেতনা, একটু বেশী সদিচ্ছা, যার কোনও কিছুই আর অবশিষ্ট নেই”।
মৃত্যুর ঠিক আগে হাসপাতালে শুয়ে ডাক্তার লি বলেছিলেন স্বাস্থ্যবান একটা সমাজে একাধিক কন্ঠস্বর থাকতে হয়। কিন্তু এই অপরাপর কন্ঠস্বরগুলো শুনতে চাওয়া মানে কেবল পাশ্চাত্য ধাঁচের বহুদলীয় গণতন্ত্র নয়। এটা নাগরিকদের সুচিন্তিত মতামত প্রবাহের উপযোগী একটি উন্মুক্ত পরিসরও বটে। মুখরোচক একটা যুক্তি হল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাষ্ট্রকে গুজব নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ নিজেই অবিশ্বাস ছড়ায় এবং ফলস্বরূপ আরও বেশী ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দেয়। রাষ্ট্র এবং সাধারণ মানুষের মধ্যকার পারস্পারিক বিশ্বাসই কেবল এসব বন্ধ করতে পারে।
মহামারিকালে শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রয়োজন পড়ে। কারণ তখন কোয়ারেন্টাইন-এর মত বড় পদক্ষেপ নিতে হয়, সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা দিয়ে তা বজায় রাখতে হয়। চীন তার কোটি মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে পেরেছে। একই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এমন ঘটনায় উদারবাদীদের বিরাট এক দল হয়ত হাত তুলে দাবী করবেন, এই কোয়ারেন্টাইন হল রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র। তারা হয়ত লড়াই করে বের হয়ে আসারও চেষ্টা করবেন। তো, বেশী বাক স্বাধীনতা দিয়ে এই মহামারি প্রতিরোধ করা সম্ভব নাকি বিশ্বকে বাঁচাতে চীন বাধ্য হয়ে হুবেই প্রদেশের নাগরিক-স্বাধীনতাকে উৎসর্গ করে দিয়েছে? কিছু ক্ষেত্রে দুটোই সত্য। কিন্তু যা আসলে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তা হল, “ভালো” বাক স্বাধীনতা থেকে “খারাপ” গুজবকে পৃথক করার সহজ কোনও রাস্তা নেই। সমালোচকরা যখন অভিযোগ করেন, চীনা কর্তৃপক্ষ “সত্যকে সবসময় গুজব বানিয়ে ছাড়ে”, তখন এটাও বলা যায় রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ মাধ্যম এবং ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের বিরাট পরিসরটি গুজবে পরিপূর্ণ।
জ্বলজ্বলে একটি উদাহরণ দেখবেন রাশিয়ার অন্যতম টিভি নেটওয়ার্ক, চ্যানেল ওয়ান-এ। সান্ধ্যকালীন খবরের অনুষ্ঠানে একটি অংশ বরাদ্দ করা হয় করোনা ভাইরাস ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর জন্য। অনুষ্ঠানটির নাম “সময়” (Vremya)। প্রতিবেদনের স্টাইলে একধরনের দ্যোতনা আছে। মনে হবে তত্ত্বগুলোকে নাকচ করা হচ্ছে, কিন্তু দর্শকদের মধ্যে এই অনুভূতিটিও রাখছে যে কিছু সত্য থাকলেও থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বার্তাটি হল, কিছু পাশ্চাত্য এলিট বিশেষত মার্কিন, তারা কারা কেউ জানে না, করোনা ভাইরাস মহামারির জন্য দায়ী- এটি গুজব হলেও হতে পারে; এটা সত্যি হবার কথা না, কিন্তু কে জানে…? আশ্চর্যজনকভাবে, আসল সত্যকে সন্দেহ করে এর গুরুত্বকে মুছে ফেলা যায় না। একই সাথে আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, আতঙ্ক প্রতিরোধে জনসম্মুখে পুরো সত্য না বলাটা মাঝে মাঝে মানুষকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত করে। তখন সমস্যাটিকে আর সমাধান করা যায় না। পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হল জনগণ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে পারস্পারিক বিশ্বাস। আর চীনে এটাই সামগ্রিকভাবে অনুপস্থিত।
গোটা বিশ্বে মহামারি যত বাড়তে থাকবে আমরা তত বুঝতে পারব বিশৃঙ্খলা এবং ক্ষুধা মোকাবিলায় বাজার-ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। আজ যে সব উপায়কে “কমিউনিস্ট” বলে মনে হচ্ছে, কাল বৈশ্বিক পর্যায়ে সেটাই গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন এবং বন্টনের সমন্বয় হতে হবে বাজারের সমন্বয়ের বাহিরে। ১৮৪০ সালের আইরিস আলু মহামারির কথা অনেকেই মনে করতে পারবেন; আয়ারল্যান্ডকে যা তছনছ করে দিয়েছিল। দশ লক্ষাধিক মানুষ হয় মারা গিয়েছিলেন নয়ত হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাজার-ব্যবস্থার উপর আস্থা অক্ষুন্ন রেখে বিলেত সেসময় আয়ারল্যান্ড থেকে খাদ্য রপ্তানি করেছিল। যদিও সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিলেন অভুক্ত। আমাদের আশা করতে হবে একই ধরনের নির্মম পদক্ষেপ আজকের দিনে আর গ্রহণযোগ্য নয়।
অনেকেই হয়ত চলমান করোনা ভাইরাস মহামারিকে এইচ.জি ওয়েলস রচিত The War of the Worlds (১৮৯৭)-এর উলটা সংস্করণ হিসেবে পাঠ করবেন। মঙ্গল গ্রহের প্রাণীদের পৃথিবী দখলের গল্প। দখলের পরে কথক আবিষ্কার করেন, পৃথিবীর এক জীবাণুতে আক্রান্ত হয়ে তারা সবাই মারা গেছে। এই জীবাণুর বিরুদ্ধে কোনও ইমিউনিটি তাদের ছিল না। তারা “নিহত হল, মানুষের সকল অস্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবার পর, খোদার ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সৃষ্টি দ্বারা, যার উপস্থিতির জ্ঞান কেবল তাঁরই ছিল”। এক্ষেত্রে ওয়েলস আর তার ভাই ফ্রাঙ্কের কথোপকথনটা নোট করার মত এবং গল্পের প্লটটাও এই আলাপ থেকেই এসেছে। তারা কথা বলছিলেন তাসমেনীয় আদিবাসীদের উপর বিলেতীদের বয়ে আনা কেয়ামত নিয়ে। ওয়েলসের জিজ্ঞাসা, বিলেতীরা তাসমেনীয়দের সাথে যা করলো, কী হবে যদি মঙ্গলের প্রাণীরা বিলেতীদের সাথে একই কাজ করে? দুঃখের বিষয়, শত্রুদের পরাজিত করার মত ঘাতক জীবণু তাসমেনীয়দের ছিলনা। এবার ওয়েলসের গল্পটা উলটো করে পড়া যাক। নির্মমভাবে শোষণ করতে থাকা আর পৃথিবীর প্রাণগুলোকে ধ্বংস করা সেই “মঙ্গল গ্রহের বাহিনী” হলাম আমরা, মানবজাতি। পৃথিবীর বুদ্ধিমান বানরদের সকল অস্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবার পর, আমরা বিপদে পড়ে গেলাম “খোদার ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সৃষ্টি দ্বারা, যার উপস্থিতির জ্ঞান কেবল তাঁরই ছিল”, সেই সব স্টুপিড ভাইরাস দ্বারা যারা কেবল সংখ্যায় বেড়ে চলে আর বদলায়।
করোনা ভাইরাস মহামারি সম্ভবকারী সামাজিক শর্তগুলো বিশ্লিষ্ট হবার দাবী রাখে। কেবল ভাবুন, এক বিলেতী সিঙ্গাপুরে একজনের সাথে দেখা করলেন, ইংল্যান্ডে ফিরলেন, তারপর স্কি করতে চলে গেলেন ফ্রান্সে, সেখানে আরও চারজনকে আক্রান্ত করলেন… প্রশ্নের সম্মুখীন হবে বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদী বাজার, সম্পদের নশ্বরতা। চলমান মহামারিকে গভীর কোনও মানে দেওয়ার লোভটি আমাদের সংবরণ করতে হবে। এই ধরুন, নির্মম হলেও এটা মানবজাতির শাস্তি, তারা যেভাবে পৃথিবীকে শোষণ করছে, প্রাণের বিনাশ করছে সেই জন্যই এই শাস্তি। আমরা যদি এমন গোপন ম্যাসেজ খুঁজতে থাকি তাহলে আমরা পূর্ব-আধুনিকই থেকে যাবো। ব্রহ্মাণ্ডকে বিবেচনা করব কথা বলার সঙ্গী হিসেবে। আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেও স্বস্তি পাব এই ভেবে যে, আমাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড (বা কেউ একজন) আমাদের সাথে যুক্ত। আমরা একটা ঘটনা। সবচেয়ে কঠিন হল এটা স্বীকার করা যে, চলমান মহামারি সাধারণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। শ্রেফ ঘটে গেছে এবং এর কোনও নিগূঢ় অর্থ নেই। বিষয়ের বৃহৎ বিন্যাসে আমরা কেবল আরেকটি প্রজাতি যার বিশেষ কোনও তাৎপর্য নেই।
করোনা ভাইরাসের হুমকির মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাথে সাথে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সাহায্য এবং সমন্বয়ের প্রার্থনা করেছেন। ভালোমানুষী বা মানবিক বিবেচনায় নয়। বরং ওখানে ফিলিস্তিনি আর ইহুদীদের আলাদা করা অসম্ভব, তাই। এক পক্ষ আক্রান্ত হলে আরেক পক্ষ অবশ্যই ভুগবে। এই বাস্তবতাকেই আমাদের তর্জমা করতে হবে রাজনীতিতে। “ম্যারিকাই (বা যে কেউ) সর্বাগ্রে” এমন কথা ফেলে দেওয়ার সময় এসেছে। মার্টিন লুথার কিং অর্ধশতাব্দী পূর্বে যেমনটি বলেছিলেন: “আমরা বিভিন্ন জাহাজে করে আসতে পারি কিন্তু আমরা এখন একই নৌকায় আছি”।
[প্রবন্ধটি “We’re All in the Same Boat Now” শিরোনামে স্ল্যাভয় জিজেকের সাম্প্রতিক বই “প্যানডেমিক”-এর একটি অধ্যায় হিসেবে প্রকাশিত]