মানুষের পরিপূর্ণ বিকাশের প্রধান শর্ত স্বাধীনতা। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন পরিবেশ প্রায় প্রতি পদে বাধাগ্রস্থ হয় অনায্য কর্তৃত্বের দ্বারা। কর্তৃত্ব কী এবং মানবপ্রকৃতি ধারণার সঙ্গে কর্তৃত্বের বিরোধ কোথায়- এসব প্রশ্নই আলোচিত হয়েছে প্রবন্ধটিতে। চিহ্নিত করা হয়েছে কর্তৃত্বের রূপগুলোকেও। একই সঙ্গে রাষ্ট্র-জনপ্রতিনিধিত্ব এবং মার্কসীয় রাষ্ট্রমুখীন সমাজতন্ত্রকেও সমালোচনা করেছেন লেখক।
কর্তৃত্ব বিরোধী ইশতেহার রচিত হয় আগস্ট বিদ্রোহের সময়। ২০০৭-০৮ সালে সেনা-কর্তৃত্বের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরি-শাসনামলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংগঠিত আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ আছে লেখাটির। কারাবন্দী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে কর্তৃত্ব বিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে একটি ইশতেহার রচনার প্রচেষ্টা এই লেখা। ২০০৮ সালে কর্তৃত্ব-বিরোধী আন্দোলন পর্যালোচনা করে ওঙ্কার নামে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। তাতেই আন্দোলনের কর্তৃত্ব বিরোধী ধারা: মূল প্রস্তাবনা শিরোনামে লেখাটি ছাপা হয়। পরবর্তীতে কর্তৃত্ব বিরোধী ইশতেহার হিসেবে লেখাটি বিভিন্ন স্থানে প্রকাশিত হয়েছে।
ফরাসি বিপ্লবের দার্শিনিক রুশো বলেছিলেন, মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন কিন্তু সর্বত্র সে শৃঙ্খলে আবদ্ধ। ফরাসি বিপ্লবই স্বাধীনতাকে ইতিহাসে প্রথম মানবীয় সহজাত প্রবণতা হিসেবেই দেখেছিল।একই সঙ্গে হাজির করেছিল, স্বাধীনতা মানে প্রত্যেকের ও সকলের স্বাধীনতার শর্ত।
ঐতিহাসিকভাবে ফরাসি বিপ্লবের সামাজিক প্রশ্ন হিসেবেই আসে সমাজতন্ত্রের ধারণা। প্রচ্ছদে ব্যবহৃত চিত্রকর্মটি যুগে যুগে স্বাধীনতার লড়াইয়ের স্মারক। ফরাসি চিত্রকর ইউজিন দেলাক্রোয়া ১৮৩০ সালে আঁকেন কালজয়ী শিল্পকর্ম লিবার্টি লিডিং দ্য পিপল। মানবীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ের
স্মারক হিসেবে প্রচ্ছদে চিত্রকর্মটি ব্যবহার করা হয়েছে।
পিডিএফ ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে।