অরাজ
আর্টওয়ার্ক: ডগ ফাইটিং শিল্পী:
প্রচ্ছদ » ইউভাল নোহা হারারি ।। ভাইরাসের চেয়েও বড় বিপদ ঘৃণা

ইউভাল নোহা হারারি ।। ভাইরাসের চেয়েও বড় বিপদ ঘৃণা

অনুবাদ: ইকরামুল হক

সম্প্রতি অধ্যাপক ইউভাল নোহা হারারির প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আর্থিক সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রফেসর ইউবাল নোহা হারারি জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের কাছে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি দ্যা উয়ার পত্রিকায় গত ২৪ সে এপ্রিল প্রকাশিত হয়।

ইউভাল নোয়াহ হারিরি

আমরা বৈশ্বিক মহামারির মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি পৃথিবীর কোন পরিবর্তন নিয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন?

আমি মনে করি না ভাইরাস সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ। মানবাজাতির কাছে এই ভাইরাস মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তি রয়েছে। আমাদের মধ্যে থাকা  কুচিন্তা যেমন লোভ , ঘৃণা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মত বিষয়গুলো আসলেই একটা বড় সমস্যা। আমি ভয় পাচ্ছি এই মানুষদের নিয়ে যারা এই সংকটকে বৈশ্বিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা  দিয়ে মোকাবেলার পরিবর্তে এই সংকটের জন্য অন্য রাষ্ট্র, আদিবাসী কিংবা ধর্মীয় সংখ্যালঘুর উপর ঘৃণা ছড়াতে চাচ্ছে, তাদের উপর দায় চাপাতে চাচ্ছে।

কিন্তু আমি আশাবাদী যে, আমরা এই  ঘৃণা চর্চার পরিবর্তে এই সংকট মোকাবেলায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াব। যা মানুষকে সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সাহস জুগাবে। যদি এইটা করা সম্ভব হয়, আমি নিশ্চিত আমরা এই সংকটকে খুব সহজেই মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।

আপনি বলছিলেন যে আমরা এমন একটা অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি যে, আমদেরকে রাষ্ট্রীয় নজরদারি এবং নাগরিকের ক্ষমতায়ন মধ্য থেকে যেকোন একটাকে বেছে নিতে হবে যদি আমরা সতর্ক না হই, তাহলে এই মহামারি নজরদারির ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ ছাপ ফেলবে কিন্তু যেটা আমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই এমন একটি বিষয়ে আমরা কিভাবে সতর্ক থাকতে পারি?

হারারি: এমন না যে এই বিষয়টা আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই ,  অন্ততপক্ষে গণতন্ত্রের কথা যদি আমরা বলি। আপনি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যাক্তি এবং দলকে ভোট দিয়েছেন, যে বা যারা রাষ্ট্রের পলিসি তৈরি করে। ফলে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর আপনার সামান্য হলেও নিয়ন্ত্রণ আছে। এমনকি এখন যদি কোন নির্বাচন নাও হয়, জনগণের চাপে হলেও রাজনীতিবিদরা কাজ করতে কিছুটা বাধ্য থাকে।

যদি জনগণ মহামারিতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে একজন শক্তিশালী নেতার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের তাগিদ অনুভব করেন। এটা আসলে একজন স্বৈরাচারীকে তার ক্ষমতার ভাগ নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। অপরপক্ষে জনগণ যদি  রাজনীতিবিদদেরকে তার দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে পারে, তবে সেটা রাষ্ট্রে যেকোন বিধ্বংসী প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দিতে সক্ষম।

 আমি কিভাবে বুঝব যে আমাকে কার উপর আস্থা রাখতে হবে অথবা যদি বলি সেই আস্থার জায়গাটা কি হবে ?

 হারিরি: প্রথমত আপনার কাছে পূর্ব অভিজ্ঞতাগুলো আছে। আপনি যদি জানেন যে এই রাজনীতিবিদরা বিগত সময়গুলোতে মিথ্যাচার করে গেছে, তাহলে এই জরুরি অবস্থার সময়ে তাদের উপর আস্থা রাখার কোন কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, যারা আপনার কাছে বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে আসে, তাদেরকে সেসব তত্ত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করতে পারেন। যদি এমন হয় যে কেউ আপনার কাছে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি এবং বিস্তার সংক্রান্ত বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করল, সেক্ষেত্রে আপনি সেই ব্যক্তিকে ভাইরাস কি এবং সেটা কিভাবে ছড়ায় সেটা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। যদি সেই ব্যক্তির কাছে এই  প্রশ্নগুলোর কোন গ্রহণযোগ্য  উত্তর না থাকে। সেক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তির কোন কিছু আপনার বিশ্বাস না করাটাই যৌক্তিক হবে। এর জন্য আপনার জীববিজ্ঞানে পিএইচডি থাকতে হবে এমন না। আপনার শুধু  বিজ্ঞানের প্রাথমিক কিছু বিষয়ের উপর বোঝাপড়া থাকলেই চলবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা অনেক জনতোষণবাদী রাজনীতিবিদকে দেখেছি বিজ্ঞানকে আক্রমণ করে কথা বলতে। তাদেরকে বলতে শুনেছি যে বিজ্ঞানীরা হল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন একদল অভিজাত শ্রেণির লোক। তারা এও বলছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের মত ঘটনাগুলো একধরনের ভাঁওতাবাজি। কিন্তু এই সংকটকালীন  মুহূর্তে আমরা সারা পৃথিবীতে দেখতে পাচ্ছি যে, মানুষ বিজ্ঞানকে অন্য  যেকোন বিষয়ের  চেয়ে বেশি বিশ্বাস করছে।

আমি আশা করব এই বিশ্বাসটা যেন শুধুমাত্র সংকটের সময়েই সীমাবদ্ধ  না থাকে, সংকটের পরেও যাতে এই বিশ্বাসটা থাকে। আমরা যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের ছাত্রদের ভাইরাস কি, বিবর্তন তত্ত্ব এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে একটা ভালো বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা দিই। মহামারির পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা যেসব বিষয় যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিবেশের বিলোপ নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেসব বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই বিষয়গুলোকেও যাতে আমরা মহামারির মত গুরত্ব দিই।

আর্টওয়ার্ক: হেটারোনেমার
শিল্পী: ভাস্কো
সূত্র: কার্টুন মুভমেন্ট

অনেক দেশ ভাইরাসের বিস্তার রোধে ডিজিটাল নজরদারির কৌশল নিয়েছে এই কৌশল কিভাবে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করবে?

হারারি: যখন আপনি নাগরিকদের উপর নজরদারির বাড়িয়ে দিবেন সেটা যেন একই সাথে সরকারের উপরও নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। এইরকম সংকটকালীন সময়ে সরকার জলের মত টাকা খরচ করছে। আমেরিকাতে এটা প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার (২ লক্ষ কোটি ডলার ), জার্মানিতে ১০০ বিলিয়ন ইউরোর মত। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসাবে আমি জানতে চাই কারা এই সিদ্ধান্তগুলো নিলো এবং টাকাগুলো কোন কোন খাতে ব্যায়

হচ্ছে । এই টাকা কি সেসব বড় বড় কর্পোরেশনকে  আর্থিক প্রণোদনা হিসাবে দেয়া হবে যারা তাদের অদক্ষতার জন্য মহামারি শুরু হওয়ার আগে থেকেই ক্ষতির মুখে ছিল? নাকি এই টাকা ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি, রেস্টুরেন্ট, দোকানের সহায়তার জন্য খরচ করা হবে?

সরকার যদি জনগণের উপর নজরদারির বিষয়ে বেশি তৎপর হয়, তবে নজরদারির ব্যাবস্থা  সরকার এবং জনগণ উভয় দিক থেকে হওয়া উচিত। সরকার যদি তার আর্থিক লেনদেনের বিষয়গুলো জটিল বলে এড়িয়ে যেতে চায়।  তখন আপনার বলা উচিত, “ বিষয়গুলো মোটেই জটিল কিছু না। আমি এমন একটা নজরদারির ব্যাবস্থা তৈরি করতে পারি যেটা দিয়ে আপনার কার্যক্রমের উপর নজরদারি করা সম্ভব হবে । এটা আমাকে দেখাবে যে আপনি আমার করের টাকা কি করছেন”।

এটা কি একক ব্যাক্তি বা দলের উপর ক্ষমতার ভার না দিয়ে, ক্ষমতাকে মানুষের মধ্যে ভাগ করে দিলে কাজ করবে?   

হারারি: একদমই তাই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তির আশেপাশের  মানুষদেরকে  সতর্ক করে দেয়ার জন্য একটা পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে । এই কাজটা দুইভাবে করা যায়। একটা  হতে পারে একটা কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ থাকবে যার কাছে আপনার  সকল তথ্য জমা  থাকবে। সে পর্যবেক্ষণ করবে আপনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছাকাছি আছেন কিনা, কাছাকাছি থাকলেই আপনাকে সতর্ক করে দিবে । আরেকটা  হতে পারে সরাসরি ফোনের মাধ্যমে একে অপরের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা। এটার জন্য কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন পড়বে না যার কাছে আপনার সকল তথ্য জমা থাকবে। যদি আমি কোন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাই, তখন আক্রান্ত ব্যক্তির এবং আমার ফোন বেজে উঠবে যাতে করে আমি সতর্ক হয়ে যেতে পারি। যার ফলে কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সম্বলিত কোন কর্তৃপক্ষ না থাকাতে সে সবাইকে অনুসরণও করতে পারবে না।

আর্টওয়ার্ক: করোনা শাসকতা-২
শিল্পী: সারশু
সূত্র: অরাজ

চলমান সংকটে সম্ভাব্য নজরদারি ব্যবস্থা এক ধাপ এগিয়ে আছে যেটাকে আপনি বলছিলেন ত্বকের নিচে নজরদারি তাহলে আমাদের শরীরের ত্বক নজরদারির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আমরা এই বিষয়টাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?

হারিরি: আমাদেরকে  এই বিষয়ে অবশ্যই খুব সতর্ক থাকতে হবে। ত্বকের উপর  নজরদারির মাধ্যমে আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সাথে সাক্ষাৎ করছেন, আপনি টেলিভিশনে সেটে কি দেখছেন কিংবা আপনি অনলাইনে কোন সাইট ভিজিট করছেন এসব কিছু জানতে পারা যাবে। আর ত্বকের নিচে নজরদারির মাধ্যমে আপনার শরীরের অভ্যন্তরে  কি ঘটছে তা জানতে পারা যাবে। এর শুরুটা হবে  আপনার শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে। কিন্তু  পরের ধাপে এটা হয়ত আপনার রক্তচাপ, হৃৎপিণ্ডের চাপ, মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এবং এটা যদি আপনি একবার শুরু করতে পারেন, তাহলে  অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে মানুষকে অনেক বেশি জানতে পারবেন।

এর মধ্য দিয়ে  আপনি একটা টোটালিটেরিয়ান শাসন কায়েম করতে পারবেন যেটার অস্তিত্ব  আগে ছিল না। আপনি যদি জানতে পেরে যান আমি কি পড়ি অথবা টেলিভিশনে আমি কি দেখি, তাহলে সেটা আপনাকে আমার রুচি, রাজনৈতিক আদর্শ, ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে একটা ধারণা দিবে। কিন্তু  এইগুলো এখনও সীমিত পর্যায়ে আছে। এখন একটা বিষয় ভাবা যাক, আমি যখন কোন বই পড়ি কিংবা টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান দেখি আপনি সেই সময়ের আমার শরীরের তাপমাত্রা অথবা রক্তচাপ, হার্টের রেট পর্যবেক্ষণ করেন তাহলে  আপনি জানতে পেরে যাবেন প্রতিটা মুহূর্তে আমি কি অনুভব করি। এইসব কাজ খুব সহজেই একটা রাষ্ট্রকে ডিস্টোপিয়ান টোটালিটেরিয়ান শাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

এটা এমন না যে প্রতিরোধ করা সম্ভব না। আমরা এইটা হওয়ার আগেই আটকাতে পারি। কিন্তু এটা প্রতিরোধ করার আগে শুরুতে আমাদের দু’টা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত আমাদেরকে বিপদটা ভালো করে বুঝতে হবে। দ্বিতীয়ত আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যে, এই জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা কোন পদক্ষেপগুলো ঘটতে দিচ্ছি।

এই সংকট কি একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের সম্বন্ধে আপনার ধারনাকে পুনর্বিন্যস্ত  করেছে ?

হারিরি: আমি আসলে জানি না। কারণ সবকিছু নির্ভর করছে মানুষ এই মুহূর্তে কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার উপর। চলমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রমজীবী মানুষের বিপদ নাটকীয়ভাবে বহুগুণ বেড়ে  যাচ্ছে । আমরা এখন দেখছি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যাবহার  বেড়ে গেছে। মানুষজন গৃহবন্দি থাকার কারণে কাজের জায়গায় প্রচুর পরিমাণে রোবট ব্যাবহার হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয়  হল মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, কিন্তু রোবটের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই। আমরা হয়ত সামনে দেখব কিছু প্রতিষ্ঠানের কাজ বাসায় বসেই করা যাবে। স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যাবহার এবং বিশ্বায়ন বন্ধের ফলে এই বিষয়গুলো ঘটতে পারে। বিশেষত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো যারা সস্তা শ্রমের উপর ভর করে চলে, সেখানকার অনেক শ্রমিক তাদের চাকরি হারাবে  স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যাবহার এবং কারখানা অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কারণে।

এমনকি ধনী রাষ্ট্রগুলোর চাকরির বাজারেও এই পরিবর্তনগুলো ঘটতে পারে। এই সংকটগুলো চাকরির বাজারে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনবে। মানুষজন বাড়িতে বসে কাজ করবে, অনলাইনে কাজ করবে। যদি আমরা সতর্ক না হই ইন্ডাস্ট্রির কিছু কিছু সেক্টরের দক্ষ লোকজনও চাকরি হারাতে পারে। কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো  যে ঘটবেই বিষয়টা এমন না । এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত । আমরা কিন্তু চাইলেই আমাদের দেশ কিংবা  সারা পৃথিবীর শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব । শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে এমন শর্তে সরকার ইন্ডাস্ট্রি এবং কর্পোরেশনগুলোকে বড় অংকের আর্থিক ছাড় দিতে পারে। ফলে সবকিছু নির্ভর করছে আমরা কি সিদ্ধান্ত নিবো তার উপর।

একজন ভবিতব্য ইতিহাসবিদ বর্তমান পরিস্থিতিটা কি বলবে?

হারিরি: আমি মনে করি একজন ভবিতব্য ইতিহাসবিদ এই পরিস্থিতিটাকে একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে একটা মোড় ঘুরানো বিষয় হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। এখন ইতিহাসের বাক বদলটা কোন দিকে ঘটবে সেটা আসলে নির্ভর করছে  আমরা কি সিদ্ধান্ত নিবো তার উপর। এটা কোন অনিবার্য পরিস্থিতি না।

 

ইকরামুল হক